ক্ষুধার রাজ্যে একুশে পা’ দেয়া কবি সুকান্ত হয়েছিল চালশে গদ্যকার টেলিস্কোপ দিয়ে খুঁজি, চাঁদে আছে কীনা রুটি। …..পার্কের চেয়ারে বসে আকাশ-কুসুম ভাবি টের পাই আশেপাশে লোলুপ দৃষ্টি ছিনতাইকারীর কাছে পকেটযৌবন বারবনিতা আমি। ত্রস্তে তটস্থে সড়কে উঠে আসি হাতছানি দিয়ে ডাকে উর্দিধারী দণ্ডবিধি, সড়ক চলাচল বিঘ্নের আইন নয়ত ডাকাত বলে গনধোলাইয়ে ফেলে দেয়ার লাইন সব হুমকিতেই তার খাদ্য তালিকায় আমি, বোকাসোকা পথচারী।
বিশাল লিস্টি নিয়ে পণ্যের বাজারে ঘুরি দোকানীরা সব ক্ষুধাতুর দৃষ্টিতে শীর্ণ পকেট আমার বিদীর্ণ করে। রোদে গরমে ঘামে ভিজে একসা আরো ভিজিয়ে দেয় অবেলার বরষা। হা করে থাকে ম্যানহোল আমাকে গিলে খেতে মাথার উপরে তারের জঞ্জাল ফাঁস হয়ে ঝোলে।
বিহবল হয়ে দেখি, শহর জুড়ে খাদ্যের ছড়াছড়ি আস্ত মুরগী কাবাব ভাজা হয় পেটের থলিতে সুড়সুড়ি, জল আসে রসনায় ভুলে যাই, রসনা বিলাসের নগরে অনেক অভুক্তের কাছে, আমি নিজেই এক চলমান খাদ্য।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সেলিনা ইসলাম
ভুলে যাই, রসনা বিলাসের নগরে //
অনেক অভুক্তের কাছে, আমি নিজেই এক চলমান খাদ্য। --কবিতার মাঝে সত্যকথাগুলি বেশ সুন্দরভাবে জীবন্ত হয়ে উঠেছে শব্দ পরিসরে । শুভকামনা
মনির খলজি
কিছু অসামান্য কথামাল্যে ক্ষুধার ব্যাতিক্রমধর্মী উপস্থাপনা খুবই সুন্দর ...লিখার হাত আছে বলতেই হবে... আর 'পকেটযৌবন বারবনিতা আমি।' সুন্দর একটা symbolic কথা শিখলাম ....শুভো কামনা রইল
Azaha Sultan
...সুন্দরের প্রতিমা-নিদর্শন সুদর্শনা প্রিয়তমার মতো মুখখানা তার.......আমি সে প্রিয়ার আঁচলে লুকাই বারবার......// আর কিছু? উজাড় হয়েছে বাগান...
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।